Thursday 21 July 2022

যিনি নিজেকে সদগুরুর চরণে সমর্পণ করেন এবং তাঁকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেন। - সুদেশ ঘরত, বোয়সার



আমাদের জন্য আমাদের সদগুরু অসংখ্য কাজ নিত্য করে চলেছেন কিন্তু কখনই তিনি নিজেকে জাহির করেন না । কোনো শ্রদ্ধাবান যখন কোনো কাজ করেন, তা সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, ঈশ্বরের ইচ্ছায় তা বৃহৎ হয়ে দেখা দেয় । আমার অভিজ্ঞতয় অন্তত তাই বলে ।

সদগুরু অনিরুদ্ধ বাপুর আমার জীবনে অনেক অনুভব আছে । এইখানে আমি তার কিছু ব্যক্ত করেছি ।

আমার স্ত্রী, সুষমা পঞ্চশীল পরীক্ষার প্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন । পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তিনি হতাশ হয়ে পড়েন । তার কারণ তার উত্তরপত্রে লেখা ছিল "পরের বার" (অনুগ্রহ করে আবার পরীক্ষায় অংশ নিন)। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে আর কখনোই তিনি পঞ্চশীল পরীক্ষায় অংশ নেবেন না । তার কারন তার মনে হয়েছিল যে তিনি এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য নন ।

তার এই অবস্থায় আমি তাকে বাপুর কথা বলে অনুপ্রাণিত করেছিলাম যে বাপুর মতে পঞ্চশীল পরীক্ষা আমাদের জ্ঞানের পরীক্ষা নয় । এটি আসলে আমাদের ভক্তির পরীক্ষা । আমি সুষমাকে বলেছিলাম যে তিনি যেন আবার পঞ্চশীলের প্রথম পরীক্ষায় বসেন । আমি সুষমাকে বাপুর উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে বলেছিলাম । বাপু শ্রদ্ধাবানদের উদ্দেশ্যে আগেই ঘোষণা করেছিলেন - "আমি তোমাকে কখনোই ত্যাগ করবো না" (I will never forsake you) । 

সুষমা কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে নিজেই অনুভব করেছিলেন যে তার আবার পরীক্ষাতে অংশ নেওয়া দরকার । তিনি সদগুরুর উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়েছিলেন এবং এক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিলো । পরম পূজ্য বাপুর কৃপায়, সুষমা চতুর্থ পরীক্ষা অবধি পৌছন এবং  চতুর্থ পরীক্ষায় তিনি ডিস্টিংকশন লাভ করেন । এই ভাবেই বাপু তাঁর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাধ্যমে সুষমাকে পঞ্চশীল পরীক্ষায় সাফল্যের শিখরে উঠতে সাহায্য করেন ।

Jyane dharile he paay and ani thevila vishwas !!

যিনি  সদগুরুর চরণ হৃদয়ে  ধারণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি অটল বিশ্বাস রেখেছেন।

আমার মেয়ে শ্রেয়া আমাদের সাথে পরম পূজ্য সুচিত দাদার ক্লিনিকে সুষমার উত্তরপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন । দাদা শ্রেয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "শ্রেয়া বীরা, তুমি কি করো?"

শ্রেয়া উত্তর দিয়েছিলেন, "আমি ডি এড পড়ছি ইংরেজিতে । আসলে আমার ফার্মেসী পাড়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু বাপু আমাকে ডি এড করার জন্য গাইড করেছিলেন" । দাদা জিজ্ঞেস করেছিলেন "বাপুর সাথে তোমার কোথায় দেখা হয়েছিল ?" শ্রেয়া উত্তর দিয়েছিলেন - "বাপু আমার স্বপ্নে এসে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন" । দাদা তার উত্তরে চমকে উঠে বলেছিলেন, "কী ! তোমার স্বপ্নে ? আর তুমি রাজি হয়ে গেলে ?" এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেয়া উত্তর দিয়েছিলেন - "হ্যাঁ, আমার স্বপ্নে হলেও, বাপুর আদেশই আমার জন্যে সঠিক ।" দাদা বলে উঠেছিলেন "শ্রী রাম ! হারি ওম !"

দাদা শ্রেয়াকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং কি আশ্চর্য্য, পরের মাসে ডি এড প্রথম বর্ষের ফলাফল বের হয় এবং শ্রেয়া তার কলেজে প্রথম স্থান অধিকার করেন ।

আমি নিজেও পঞ্চশীল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম এবং পাঁচটি পরীক্ষাতে পাশ করি । দাদা একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "তুমি আরেকবার পরীক্ষায় বসলে না কেন ?" আমি উত্তর দিয়েছিলাম, "দাদা, আমি আবার পঞ্চশীল পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছি, কয়েকদিন আগে আমি পঞ্চশীলের দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছি । সদগুরু বাপু আমাদের সবাইকে বারংবার পঞ্চশীল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে বলেন । বাপু বলেছিলেন যে যদি কেউ পরীক্ষায় একটু বাড়তি নম্বর পায়, তবে জেনে রাখা দরকার যে তার ভক্তি কিছুটা বেড়েছে । বাপুর এই কথা আমার ভালো লেগেছিলো" । দাদা খুশি হয়ে আমাকে বলেছিলেন "খুব ভালো" ।

আমাদের ছেলে রিতেশ গতানুগতিক পড়াশোনা পছন্দ করেন না। রিতেশ কোনোভাবে  দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন। যখন রিতেশ তার ভবিষ্যত এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তখন একদিন তার এক বন্ধু তাকে তার আগ্রহের কথা জিজ্ঞেস করেন । রীতেশ তাকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে আগ্রহের কথা জানান। এটা শুনে তার বন্ধু তাকে বোরিভালির জেটকিংস কলেজে ভর্তি হতে সাহায্য করে । বাপুর কৃপাতেই এটা সম্ভব হয়েছিল । শুধু তাই নয়, বাপুর অশেষ আশীর্বাদে রীতেশ শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি, পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন ।

এখন রীতেশ বাপুর কৃপায় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন ।

বাপুর কাছে আমরা চিরঋণী । তিনি আমাদের পরিবারের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমরা সর্বদা তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকব । একজন ভক্তের ক্ষুদ্র কর্মের কত প্রশংসা করেন ঈশ্বর !

সদগুরু যখন একজন ভক্তের নাম নিজের মুখে নেন, তা তখন সেই ভক্তের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ! পঞ্চশীল পরীক্ষায় বিশিষ্টতা অর্জনকারী ভক্তদের নাম বাপু নিজের মুখে  ঘোষণা করেন এবং তা আমাদের মধ্যে অসীম আনন্দের অনুভুতির সৃষ্টি করে । এটা তাঁর ভক্তদের প্রতি বাপুর সত্যিকারের ভালোবাসার নিদর্শন !


সদগুরু বাপুর চরণে শত কোটি প্রণাম !


রান্নার সময় গ্যাস লিক হওয়া সত্ত্বেও সদগুরুর কৃপায় কীভাবে রক্ষা পেলেন তিনি। - অরুণা আলাই , অমলনের।

 



আমরা প্রায়ই পড়ে থাকি বাড়িতে গ্যাস লিক বা গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা। আমরা এও জানি যে এই ধরনের দুর্ঘটনা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে আর তার পরিণামও। যে শ্রদ্ধাবান আমাদের কাছে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন তিনি তাঁর রান্নাঘরে গ্যাস লিক হওয়া সত্ত্বেও সদগুরু অনিরুদ্ধের (বাপু) কৃপায় রক্ষা পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয় , তিনি সকালবেলার তাঁর চা , জলখাবার ও এমন কী তাঁর দুপুরের খাবারও তৈরি করে রেখেছিলেন  অথচ সেইসময় কোনও ক্ষতি ছাড়াই আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁরা।

গঙ্গাকে প্রবাহিত হতে আমরা দেখেছি। গঙ্গোত্রীতেও আমরা গিয়েছিলাম। সেই সদা প্রবাহিত জলধারা দেখে ভেবেছিলাম , হাজার হাজার বছর ধরে অবিরাম এই জলধারা কীভাবে বয়ে চলেছে ? বিজ্ঞানও এই ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারে না যে কেন এমনটা হয়ে চলেছে। বলা হয়ে থাকে , বিজ্ঞান যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শুরু হয় আধ্যাত্মিকতা। তবে  অটল আস্থা থাকতে হবে ঈশ্বরের উপর , আর বিশ্বাস রাখতে হবে  সদগুরুর প্রতি। 

এই কথাই বাপু আমাদের বলেছেন বহুবার , "Ek Vishwas Asava Purta Karta Harta Guru Aisa.”  (একটা বিশ্বাস থাকতে হবে এমন যে "সদগুরু আমার কর্তা , আমার হর্তা , ত্রাণকর্তা" ) 

অরুণা আলাই বলছেন ... সত্যিই অত্যন্ত বিস্ময়কর ও অনির্বচনীয় এক অনুভব আমার হয়েছে। দিনটি ছিল , ৩রা সেপ্টেম্বর , ২০১৩ সাল। যথারীতি সকালে উঠে ,  আমি রান্নাঘরে চা বানাতে গিয়ে গ্যাস চালু করার চেষ্টা করলাম কিন্তু তা ধরাতে পারলাম না। আমার ছেলে তখন চেষ্টা করে ও পরে একটা নতুন সিলিন্ডার লাগিয়ে দিলে গ্যাস জ্বলে ওঠে। আমার বউমা তখন চা , সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারও তৈরি করে নেয়। তারপর আমরা দুজনে মিলে রান্নাঘর পরিষ্কার করে নিই। 

পরে আমি , অনিলসিংহ এবং আমার মেয়ে , যখন আমরা ড্রয়িং রুমে বসেছিলাম , তখন হঠাৎ গ্যাসের গন্ধ পেলাম। কি ঘটছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রান্নাঘরে ছুটে গেলাম। দেখি , গ্যাসের পাইপ দিয়ে হিস হিস শব্দে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস বের হয়ে আসছে। সারা ঘরে তখন গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। বুঝলাম , এর অর্থ হল রেগুলেটরটি ভালভাবে লাগানো ছিল না ও তাই গ্যাস লিক হয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছিল। আমরা অবিলম্বে রেগুলেটরটি বন্ধ করে দিলাম এবং অনিলসিংহ অভিযোগ জানাতে গ্যাস কোম্পানিকে ফোন করে দিলেন।

বিকাল ৩টের সময়  মেকানিক এসে সব চেক করে , বুঝতে পারে যে রেগুলেটরটিতে ভালভ নেই। আমরা হতবাক হয়ে গেলাম। আমি মেকানিককে বললাম যে এটা অসম্ভব , কারণ আমরা মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এই একই গ্যাস ব্যবহার করেছি।

তিনি সমানভাবে হতবাক হয়ে যান। দেয়ালে দত্তগুরু ও বাপুর ছবির দিকে তাকিয়ে বলেন " আপনাদের ওপর আপনাদের সদগুরুর আশীর্বাদ আছে আর সেজন্যই একটা বিরাট দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হলো।"

এরপর তিনি একটি ভাল্ব লাগিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারটিকে আবার ঠিক করে দিলেন। মনে মনে আমরা বাপুকে অনেক ধন্যবাদ জানালাম। বাপুর আশীর্বাদের কারণেই এই  প্রাণহানি এড়ানো গেল। আমাদের সদগুরু ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে তা জানেন। এইটাই একমাত্র সত্য যে  শ্রদ্ধাবানরা যেখানেই থাকুক না কেন ও তারা যতই ভয়াবহ অবস্থায় থাকুক না কেন , সদগুরু তাদের রক্ষা করার জন্য সর্বদা তৎপর। বাপু , আমরা অম্বজ্ঞ। 

किती आधिव्याधी तू केल्यास शान्त

रक्षिलेस मजला घोर संकटात 

विसरलास ना मला तू अहोरात 

स्मर्तृगामी बापू , दत्तगुरु ओळखलो 

अनिरुद्धा तुझा मी किती ऋणी झालो. 

কিতী আধিব্যাধী তূ কেল্যাস শান্ত 

রক্ষিলেস মজলা ঘোর সঙ্কটাত 

বিসরলাস না মলা তূ অহোরাত

স্মর্তৃগামী বাপু , দত্তগুরু ওলখলো 

অনিরুদ্ধা তুঝ্যা মী কিতী ঋণী ঝালো।


Saturday 19 September 2020

হনুমানচলিসা পঠন

হরি ওঁ ,





সকল শ্রদ্ধাবানদের জন্য একটি সুখবর এই যে , শ্রী অনিরুদ্ধ গুরুক্ষেত্রমে , প্রতি বছরের মতো এবারও হনুমানচলিসা পঠনের আয়োজন করা হয়েছে। অধিক আশ্বিন মাসে , ইংরেজি সেপ্টেম্বর মাসে সোমবার ২১শে সেপ্টেম্বর , ২০২০ থেকে রবিবার ২৭শে সেপ্টেম্বর , ২০২০ পর্যন্ত মোট এই সাত দিনে এই পঠন সুসম্পন্ন করা হবে।

কিন্তু এই বছরে গুরুক্ষেত্রমে পঠন করা সম্ভব নয় তাই সেই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে , অন্যান্য বছরের ভিডিও রেকর্ডিং-এর সাহায্যে , অনিরুদ্ধ টিভি , ফেসবুক পেজ , ইউটিউবের মাধ্যমে ও সেইসঙ্গে "অনিরুদ্ধ ভজন মিউজিক রেডিও" এর সাহায্যেও ( অডিও স্বরূপে ) শ্রদ্ধাবানদের এই পঠনের লাভ অর্থাৎ সুফল লাভের একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক শ্রদ্ধাবান এই পঠনে অংশ গ্রহণ করতে পারেন , আপন আপন ঘরে বসে।

এক দিনের জন্য বা একাধিক দিনের জন্যও এই পঠনে "জপক" হিসাবে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু প্রতি বারের মতো এই বারেও "এ" ও "বি" দুটি ব্যাচ রাখা হয়েছে। আর প্রত্যেক "শ্রদ্ধাবান জপক" ওই সব দিনের দুটি ব্যাচের মধ্যে যে কোন একটি ব্যাচের জন্য নাম দিতে পারেন।

পঠনের সময়সূচি নিম্নরূপ হবে :-

     "এ" ব্যাচ  "বি" ব্যাচ    আবর্তন



দুই ব্যাচের শ্রদ্ধাবানদের এক এক ঘন্টা করে পঠন করতে হবে ও সারাদিনে মোট ছয় বার আবর্তনে যোগ দিতে হবে। যখন "এ" ব্যাচের আবর্তন শুরু হবে তখন "বি" ব্যাচ বিশ্রাম ক'রতে পারবে। একই ভাবে যখন "বি" ব্যাচ পঠন করবে তখন "এ" ব্যাচ বিশ্রাম ক'রবে।

এই পঠনে সহভাগী হওয়ার জন্য শ্রদ্ধাবানদের নাম দিতে হবে , রবিবার ১৩ই সেপ্টেম্বর , ২০২০ থেকে নীচে দেওয়া ওয়েবসাইট লিঙ্কে ক্লিক করে।

নাম দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইট লিঙ্ক :-

প্রসঙ্গত , যদি কোন শ্রদ্ধাবান ভক্তের সারাদিন ধরে পঠনে অংশ গ্রহণ করতে অসুবিধা থাকে , তাহলে তিনি সাত দিন ধরে , তাঁর সুবিধা অনুযায়ী যে কোন সময়ে এই পঠনে অংশ গ্রহণ করতে পারেন।

জপের জন্য খাওয়া দাওয়া বা পরিধেয় পোষাকের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই কিন্তু আমিষ , অর্থাৎ মাছ মাংস না খাওয়াই শ্রেয়।

সদগুরু শ্রীঅনিরুদ্ধের কৃপায় , তাঁর আশীর্বাদে প্রাপ্ত এই সুবর্ণ সুযোগ , এই পঠনের লাভ অধিক অধিক শ্রদ্ধাবান যেন গ্রহণ করেন।

। হরি ওঁ । শ্রীরাম । অম্বজ্ঞ ।
। নাথসম্বিধ্ ।

- সমীরসিংহ দত্তোপাধ্যে 
শুক্রবার , দি. ১১ই সেপ্টেম্বর , ২০২০

Sunday 5 August 2018

ভারত - বিশ্বের লোড ব্যালেন্সার - India - a load balancer


মধ্য প্রাচ্যের অঞ্চলের  এবং ইন্দো -প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনায় বিশ্লেষকরা খুবই চিন্তিত। সিরিয়া ,কুর্দিস্তান ,উত্তর কোরিয়া এবং সন্ত্রাসবাদের মত বিষয়গুলির উপর প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ব।

ভারতও অদূরদর্শী ঘটনাগুলির মুখোমুখি হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তূত  করার ক্ষেত্রে খুব বেশি পিছনে নেই। তাই ইতিহাস ,পরিস্থিতি এবং ভারতের সাথে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে ভারত বিশ্বের লোড ব্যালেন্সাররের ভূমিকাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। 

কিছু সময় আগে ,ভারত ইরানের চাবহার বন্দরের মাধ্যমে আফগানিস্তানের জনগণের কাছে উপহার হিসেবে গমের একটি চালান পাঠিয়েছিল। এই উন্নয়ন   আফগানিস্তানের "বিশেষ সন্ত্রাসী স্থান " পাকিস্তানের নির্ভরতা কম করে দিয়েছে শুধু তাই নয় তার সঙ্গে এই উন্নয়ন ভারতকে কেন্দ্রীয় এশিয়ার মধ্যে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে এবংমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের দ্বন্দ্বের মধ্যে ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব প্রয়োজন অনুসারে পালন করবার  সুযোগ  পেয়েছে। 


তাছাড়া ,ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুবই আগ্রহী ভারতের  সাহায্যে ইন্ডো -প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পাকিস্তানের উপরেও নজর রাখতেও  আগ্রহী। তাছাড়াও মাকিন যুক্তরাষ্টের ভারতের সাহায্যের প্রয়োজন আফগানিস্থানের পুনঃনিরর্মাণের জন্য। সাম্প্রতিক ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তিতে  মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের এই চাহিদাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ভারত ও রাশিয়ার  কয়েক দশকের প্রীতির সম্পর্ক খুবই জনপ্রিয় ও প্রচোলিত। ভারতের  রাশিয়া ও মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র  উভয়ের সঙ্গে সামীপ্য বিবেচনা করে এই ধারণা করা যেতে পারে যে ভারত সম্ভবত বিশ্বের শান্তি বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

একই সময়ে  ভারতের ও  ইসরায়েলের  দ্রুত  ঘনিষ্ঠতা ও উন্নয়নশীলতা সঙ্গে সঙ্গে ভারত  সিরিয়ার বাশার আল আসাদ , প্যালেস্টাইন , জর্ডান ,মিশর ,সৌদি আরব , সংযুক্ত আরব আমিরাত , তুস্কর  ইত্যাদি  প্রদেশের  সাথে আন্তরিক সম্পর্কের ও  ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে যার ফলে ভারত ও ইসরায়েলের এক গুরুত্বপূর্ণ  মিত্রতার সম্পর্ক স্থাপন  হয়েছে।ভারতের সমান্তরাল বন্ধন সবচেয়ে মূল্যবান এবং প্রকৃতপক্ষে এটি ইসরায়েলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় , কারণ ইসরায়েল ক্রমাগত ভাবে মধ্যপ্রাচ্যের  সঙ্গে বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে , মধ্যপ্রাচ্যের ফাতাহ -হামাস এর সঙ্গে জোটবন্ধন ও  কূটনৈতিক প্রসারের  জন্য।

পশ্চিম এশিয়ার পর , এবার আমরা পূর্ব দিকে একটু নজর রাখি। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  চীনের প্যাসিফিক অঞ্চলে  ভারসাম্য  বজায় রাখার জন্য ভারতের সাহায্য  নিতে আগ্রহী।তাছাড়া ,জাপান,ভিয়েতনাম ,সিঙ্গাপুর , অস্ট্রেলিয়া ,মঙ্গোলিয়া , ব্রূনাই , দক্ষিণ কোরিয়া এবং সমস্ত আসিয়ান (ASEAN) সদস্যের সাথে  ভারতের চমৎকার কৈশলগত ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এই অঞ্চলে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই  তথ্যের একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রমান যে সমস্ত ১০ টি এশিয়ান দেশের  রাষ্ট্রপতিরা সহজেই এই বছর প্রধান অথিতি হিসাবে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ভারত -মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র -জাপান নৌবাহিনী মৈত্রীসংগঠনে অংশগ্রহণ করতে খুবই আগ্রহী ছিল এবং এই প্রকল্পনা সফল করতে অস্ট্রেলিয়া মার্কিন কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করেছে। ভারতের ভুটান ,বাংলাদেশ , মিয়ানমার , শ্রীলংকা এবং নেপালের সাথে উন্নত সম্পর্ক উপ মহাদেশে ভারতের জন্য সুবিধাজনক প্রমাণিত হয়েছে।



 ভারত  সার্ক থেকে একটি নতুন গ্রূপ তৈরী    ক  রতে সফল হয়েছে - "বঙ্গোপসাগর ইনিশিয়াটিভ ফর মাল্টি -সেক্রেটারি টেকনিক্যাল ইকোনমিক কো -অপারেশন (বিমসটেক ) যার মধ্যে বাংলাদেশ ,মায়ানমার , শ্রীলংকা , থাইল্যান্ড , ভুটান ও নেপাল রয়েছে। পাকিস্তান এই গ্রূপের মধ্যে নেই। ভারত যেহেতু কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ  চীনের সাথে ডোকলাম (doklam)অচলাবস্থা চলাকালীন করেনি , তাই তা ভারতকে নিজের জায়গা দৃঢ় করতে সাহায্য করেছে। এটা সত্যি যে চীনকে   ডোকলাম থেকে পরাজয় স্বীকার করে প্রত্যাবর্তন  করতে হয়েছিল এবং পরাজয়ের পরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ভারতকে আহবান জানান ভারতের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যে। ডাটা দেখাচ্ছে  যে ভারত উত্তর কোরিয়ার  দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার (চীনের পরে )। বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গেলে  দেখা যায় যে ভারতের ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স , জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য সহ সমস্ত সদস্য দেশগুলির সাথে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। 

এটা পরিষ্কার বলা যায় যে , তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর কালো ঘন মেঘ প্রতিদিন আরও অন্ধকার ও ভয়াভহ হয়ে উঠছে ,কিন্তু ভারত তার কূটনৈতিক সম্পর্ক, বিশাল অর্থনীতি , শক্তিশালী সশস্ত্র সেনা বাহিনী এবং শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক সস্কৃতির সাহায্যে ভবিষৎতে " বিশ্বের লোড ব্যালেন্সার  " হয়ে উঠবে। 
x

Wednesday 20 August 2014

ডাক্তার নিকোলা টেসলার পরিচিতি (Introduction To Dr. Nikola Tesla

২৭শে মার্চ ২০১৪ তারিখে ,অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ,সদগুরু শ্রী অনিরুদ্ধ বাপু আমাদের ডাক্তার নিকোলা টেসলার পরিচিতি দিয়েছেন ।বিশ্বাস করা হয় যে ডাক্তার টেসলা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ,ওনার মতন বিজ্ঞানী এই বিশ্বে আর কেউ নেই ।মূলত বিস্মৃত বা ভুলে যাওয়া ওনার নানান আবিষ্কার বা উদ্ভাবন আজও বিশ্বের বা এই গ্রহের  প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের  একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে আছে ।তাই আজ থেকে আমি ডাক্তার নিকোলা টেসলার  মতন এক পবিত্র ব্যক্তিত্ব ও দুরদর্শী বিজ্ঞানী,যিনি নানান উদ্ভাবন করেছেন ,তাঁর উপরে একটি সিরিজ  শুরু করছি ।




ডাক্তার নিকোলা টেসলা বৈদ্যুতিক নিষ্কাশনের মধ্যেও নিজের গবেষণা শান্ত ভাবে করে যেতেন |

ডাক্তার  নিকোলা টেসলা সার্বিয়ায় জন্ম গ্রহণ করে  ছিলেন , কিন্তু উনি আমেরিকান ছিলেন (Serbian-born American)। উনি "সহস্র বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক " (The Greatest Scientist Of The Millenium) হিসাবেই পরিচিত , প্রকৃতপক্ষে উনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক , ফিউচারিস্ট (দূরদর্শী ), এবং একজন সক্ষম পরিকল্পনাকারী পদার্থবিদ্যাবিৎ (ফিসিসিস্ট ), যিনি  বিশ্ব জুড়ে সনামধন্য হয়ে আছেন তাঁর নানান অবিস্মরণীয় উদ্ভাবনের জন্য যেমন অল্টারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current) ,ফ্রী এনার্জি (শক্তি) (Free Energy),ওয়্যারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিসন(wireless power transmission)।

ডাক্তার নিকোলা টেসলা জন্ম গ্রহণ করেছিলেন এক ক্যাথলিক ধর্মীয় পরিবারে অস্ট্রীয় সাম্রাজ্যে (বাস্তবে যাকে ক্রোরেশিয়া বলা  হয় ) (Croatia), উনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১০ই জুলাই , ১৮৫৬ সালে মধ্য রাত্রে,বাইরে তখন দিনের বেলার  প্রখর গরমের কারণে  রাত্রে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রাঘাত হছিলো ।আরেকটি কৌতূহলজনক তথ্য হলো যে দাইমা যিনি নিকোলাসের মায়ের প্রসবের  সময়ে তাকে সাহায্য করছিলেন তিনি নিকোলাসের জন্মের পরে পূর্বাভাস  করেছিলেন যে নিকোলাসের প্রতিভা বাইরের ঝড় জল ও বজ্রাঘাতের মতনই প্রভাবশালী ও বিশাল হবে ,তাই তিনি ওনাকে " দ্য চাইল্ড অফ স্টর্ম" বলে আখ্যা করেছিলেন এবং প্রকিতপক্ষে তিনি পরে সেইরকমই হয়েছিলেন ।

ইলেকট্রিকাল ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং য়ের বিষারদ  ডাক্তার নিকোলা টেসলা ভর্তি হলেন "গ্রাজ "বলে একটি জায়গাতে "দ্য অস্ট্রিয়ান পলিটেকনিক স্কুলে ",মিলিটারী বর্ডার বৃত্তি নিয়ে । এরপরে ডাক্তার টেসলা প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন । ডাক্তার টেসলাকে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করা হয়েছিল ।ডাক্তার টেসলা ১৮ টি ভাষা জানতেন যার মধ্যে উনি ১২ টি ভাষার উপরে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন , যেমন সার্বো -ক্রোট ( ওনার মাতৃ ভাষা ), ল্যাটিন , ইতালিয়ান , ফরাসি , জার্মান , ইংরেজি , এবং আরও অনেক ভাষা ।     

ডাক্তার নিকোলা টেসলার নিজের নামে  ৭০০র বেশি পেটেন্ট আছেযা ওনার পারদর্শিতার প্রমান । ওনার বেশুমার ও বিস্ময়কর উদ্ভাবনের মধ্যে থেকে কিছু উদ্ভাদনের উল্লেখ এখানে করা হলো যেমন অল্টারনেটিং কারেন্ট বা বিদ্যুত (Alternating Current), শান্তি রশ্মিরেখা (Peace Ray), মানবাকৃতি রবটHumanoid Robots), টেলিভিশন, রিমোট কন্ট্রোল, এক্স রে, বেতার পাওয়ার ট্রান্সমিশন (wireless power transmission), ফ্রী শক্তি মহাজাগতিক রশ্মি  থেকে (free energy from Cosmic Rays), ইন্ডাকশান মোটর, রেডিও, আবর্তিত চুম্বকীয় ক্ষেত্রের নীতি (rotating magnetic field principle), টেলিফোন পুনরায় কারক (telephone repeater), টেসলা কয়েল (কুন্ডলী) ট্রান্সফরমার(Tesla coil transformer), বেতার যোগাযোগ (wireless communication), টেলিপোর্টেশন (teleportation), স্পেসটাইম বেন্ডিং(spacetime bending), সময় ভ্রমণ (time travel), ইত্যাদি, ওনার উদ্ভাবনের তালিকা অশেষ, অবিরাম ।





ডাক্তার নিকোলা টেসলা ওনার গবেষণাগারে 

ডাক্তার নিকোলা টেসলাকে  তাঁর এই অত্যন্ত উদ্ভাবনী এবং অপ্রচলিত কিন্তু কার্যকারী চিন্তাধারার জন্য অনেক পুরষ্কার ও সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে ।এর ভিতরে আছে "দ্য অর্ডার অফ সেন্ট্ সাভা(The Order Of St.Sava) "যা ওনাকে সার্বিয়ার রাজা মিলান ১ দিয়েছিলেন১৮৮৩ সালে  ,ফ্রাঙ্কলিন ইন্সটিটিউট(Franklin University) ওনাকে ওনাদের সর্বোচ্চ পুরষ্কারে সম্মানিত করেন যা হলো "দ্য এলিয়ট ক্রেস্সন মেডেল "(The Elliot Cresson Medal),উনি "দ্য জন স্কট অ্যাওয়ার্ড "(The John Scott Award)পান  ওনার নানান উদ্ভাবনের জন্যে যা মানবজাতিকে সুখ সাচ্ছন্দ্য দিয়েছে ও উপকৃত করেছে ।আরও কিছু পুরষ্কার বা সম্মানের তালিকা এখানে দেওয়া হলো যা উনি প্রাপ্ত করেছিলেন যেমন মন্টেনেগ্রোর রাজা নিকোলার কাছ থেকে উনি "দ্য অর্ডার অফ প্রিন্স দানিলো "(The Order Of Prince Danilo)পুরষ্কার পেয়েছিলেন ,উনি "দ্য এডিসন মেডেল "(The Edison Medal)ও পেয়ে সম্মানিত হয়েছিলেন ১৯১৭ সালে -যে পুরষ্কার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সর্বোচ্চ পুরষ্কার হিসাবে মানা হয় ।

ডাক্তার নিকোলা টেসলার নামানুসারে" দ্য মাগনেটিক ফ্লাক্স ডেনসিটি"(The Magnetic Flux Density) র আন্তর্জাতিক ইউনিটটির নামকরণ করা হয়েছে ।ডাক্তার টেসলাকে ১৯৭৫ সালে "দ্য ইনভেন্টরস হল অফ ফেম "(The Inventers Hall Of Fame)এ অভিষিক্ত বা অধিষ্ঠিত করা হয়।মার্কিন ডাক বিভাগ ডাক্তার নিকোলা টেসলাকে মরণোত্তর সম্মানিত করেন  ওনার স্মৃতিতে একটি স্মারক ডাকটিকিট বের করে ১৯৮৩ সালে ।"দ্য নিকোলা টেসলা অ্যাওয়ার্ড "(The Nikola Tesla Award)যা অন্য সব পুরষ্কারের মধ্যে একটি অন্যতম বিশিষ্ঠ ,স্বতন্ত্র এবং সম্মানিত পুরষ্কার ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে প্রতি  দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল থেকে । উপরন্তু ডাক্তার নিকোলা টেসলার সাফল্য কে স্মরণে রেখে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১০ই জুলাই নিকোলা টেসলা দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।

ডাক্তার নিকোলা টেসলার সমস্ত বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন এতই প্রগতিশীল ছিল যে এটা  মনে করা হয় যে  তিনি দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের প্রসবকর্তা এবং এও মনে করা হয় যে উনি প্রকৃতপক্ষে "তড়িৎ শতকের" (The Electrical Era) বা "দ্য ইলেকট্রিকাল এরা "ফারমান জারি করেন । সংক্ষেপে ডাক্তার টেসলার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন শুধু মাত্র ২০ শতকের প্রগতির ভিত্তি গড়ে তোলেনি তা ২১ শতকেও সমান ভাবে প্রয়োজনীয় ও কার্যকারী ।এবং তাই ওনার  জীবিত কালে বিশ্বের সমস্ত প্রধান দেশগুলি তাদের চর স্থাপন করে ওনার গতিবিধির উপরে নজর রাখতেন । ডাক্তার নিকোলা টেসলা একজন বিজ্ঞানী , সংস্কারক ও একজন উচ্চ মাপের বিরল মানুষ ।

তিনি বিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয়ে ঈশ্বরকে অনুভভ করেছেন ।উনি ওনার প্রতিটি বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছেন বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা একই মুদ্রার দুই দিক ,একে অপরের পরিপূরক আর বৈজ্ঞানিক সব উদ্ভাবনই ইশ্বরের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ,জগতের সব কিছুই চালিত হয় "দ্য সুপ্রিম ফোর্স " (The Supreme Force) দিয়ে ,যা খালি ঈশ্বরই পারেন ।ওনার মতন একজন প্রতিভাশালী ,দূরদর্শী, প্রতিভাবান বৈজ্ঞানিক ও উচ্চ মানের মানুষকে আমাদের ভিতরে ফিরে পাওয়া একঅর্থে অসম্ভব ।ডাক্তার নিকোলা টেসলাকে ওনার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ও নূতনের প্রবর্তন করার জন্য "বিজ্ঞানের ঈশ্বর "বা "দ্য গড অফ সায়ন্স " (The God Of Science) বলা হয় ও সম্মানিত করা হয় ।



"হরি ওম "         শ্রী রাম "       " আম্বাদ্ন্যা "

গমের রসের প্রণালী (Recipe of wheat concentrate)


গত ২৭ জুন ২০১৩ বাপু ওনার বক্তৃতায় গমের রসের উপকারিতার সম্পর্কে বলেছেন (গম-wheat,রস-concentrate)এই পুষ্টিকর গমের রসের প্রস্তুত প্রনালীটা আমি আপনাদের সংগে শেয়ার করছি :

রাত্রে কিছুটা গোটা গম ভিজিয়ে রাখতে হবে ।পরের দিন আগের দিনের  জলটা ফেলে দিয়ে আবার গমটাকে তাজা জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ।তৃতীয় দিনেও একই ভাবে জল পাল্টে গম ভিজিয়ে রাখতে হবে ।চতুর্থ দিনে ভেজানো গমটা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে অল্প জল মিশিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে ।এই মিশ্রনটা ভালো করে ছেকে নিয়ে একটি পাত্রে ঢেকে রেখে দিতে হবে ।

ছয় থেকে সাত ঘন্টা পরে পাত্রের ঢাকনা খুলতে হবে ।গমের ঘন রসটা একটি শিশিতে ঢেলে নিয়ে উপরের জলটা ফেলে দিতে হবে ।

বিধি ১:

যাদের ওজন বেশি হবার সম্ভাবনা আছে তারা কিভাবে এই রসটির সেবন করবেন :

১)গমের রস -(১ বাটি ) ২)জল -৪ বাটি ৩)হিঙ্গ -১ চামচ ৪)নুন -স্বাদ অনুযায়ী ৫)জিরে পাউডার  -স্বাদ অনুযায়ী ।
এই সব উপাদানগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে কম আঁচে
ফুটতে দিতে হবে।  খেয়াল রাখতে হবে যাতে এবং নাড়তে হবে যাতে দলা না পাকিয়ে যায়ে ।

বিধি -২:

যাদের ওজন কম :

১)গমের রস -১ বাটি ২)ঘি -২ চা  চামচ ৩) দুধ - ১ বাটি ৪)চিনি-২ চা চামচ ৫)এলাচ -স্বাদ অনুযায়ী ।

প্রথমে একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে গমের রস দুধ এবং চিনি মেশাতে হবে ।কম আঁচে মৃশ্রণটি  ফোটাতে হবে ।(পছন্দ হলে) এলাচ পাউডার মেশাতে হবে ।  মৃশ্রণটি নাড়িয়ে  যেতে হবে উপরে ঘি উঠে আসা পর্যন্ত্য ।ভালো করে রান্না হয়ে যাবার পর আঁচ থেকে নাবিয়ে নিতে হবে ।

গমের রসের যে প্রণালী উপরে দেওয়া  হয়েছে তা অপরিহার্য্য এবং অতন্ত্য পুষ্টিকর ।প্রত্যেক দিন একটি মাঝারি আকারের বাটির এক বাতি রান্না করা গমের রস সেবন করা উচিত ।

(এই প্রণালীর ভিডিও শ্রীঘই উপলব্দ্ধ  হবে)

Monday 13 January 2014

প্র্পত্তি -আপত্তি বা বিপদ প্রতিরোধক শরণাগতি।

গত বছরের মতো এ বছরেও পরম পূজ্য নান্দামাতার তত্ত্বাবধানে শ্রী মঙ্গলচন্দিকা প্র্পত্তির প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ।

কিছু ধর্মপ্রাণ মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা করার সময়ে নন্দামাতা বলেছেন ,
"পরম পূজ্য বাপুজি রামরাজ্য বই তে প্র্পত্তি সম্পর্কে যা ব্যাক্ত করেছেন আমরা সেই পুস্তিকা পড়ে শ্রী মঙ্গলচন্দিকা প্র্পত্তির প্রস্তুতি শুরু করবো ।"

 তাহলে আমরা বুঝতে পারব বাপুজি আমাদের কাছে কি আশা করেন ।প্রতি বছর প্রপত্তির আগে  সকল শ্রদ্ধাবান স্ত্রীদের এই রামরাজ্য পুস্তিকা পড়া উচিত ,এই তথ্য পড়ে ওনারা প্রপত্তি সংক্রান্ত বাপুজীর কি ভূমিকা তা বুঝতে পারবেন ।

.......আর তখনই আমার রামরাজ্য প্রবোচনের কথা মনে এলো ।সেই দিনটা ছিল ,৬মে ২০১০ সাল ।পরম পূজ্য বাপুজি বলেছিলেন "আজ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার শুরু হচ্ছে ,আর সেটা হলো শ্রী চন্দিকা উপাসনা ............রামরাজ্য আনার জন্য মা চন্দিকার  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা আছে ।মা চন্দিকার কৃপাতেই সবকিছু হবে ।মা চন্দিকার উপাসনা ও পুজো করলে তবেই অশুভের দমন হয় ,আর তা ছাড়া অশুভ পরাস্ত হয় এবং জীবনে সাফল্য ও সাহস অর্জন করা যায় ও তা অপরিবর্তিত রাখা যায় ।


তারপর প্রথম বার বাপুজি প্র্পত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও তার ব্যখ্যা দেন ।প্র্পত্তির উপাসনা মানে আপত্তি বা বিপদ প্রতিরোধক শরণাগতি ।
পুরুষদের জন্যে শ্রী রণচন্দিকা প্র্পত্তি আর মহিলাদের জন্য  শ্রী মঙ্গলচন্দিকা  প্র্পত্তি ।পুরুষদের প্র্পত্তি  শ্রাবণ মাসে হয়  এবং মহিলাদের প্র্পত্তি মকর সংক্রান্তির  দিনে হয় ।এইজন্য নন্দামাতা প্রপত্তির প্রস্তুতিতে  ব্যাস্ত আছেন ।

তথ্য পড়ার  পর ,নন্দামাতা বলেন .............
"আমরা যেমন আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সপ্তমাত্রুকা পুজো করি ,সেই রকম  আমরা আমাদের সমস্ত পরিবারের নিরাপত্তার  জন্য প্র্পত্তি করে থাকি ।মহিষাশুরমর্দিনী  চন্দিকা অর্থাত আমাদের বড়ো মা ই আমাদের নিজেদের পরিবারের রক্ষক বানিয়েছেন ।" নন্দামাতা আরো  বলেন ,"বাপুজি যেমন বলে থাকেন যে ,ভিত্থল  (vitthal) ভগবানের দর্শণে যাওয়ার সময়ে মনে খালি ওনার ধ্যান থাকা উচিত ,ঠিক সেই রকমই  প্র্পত্তি করার সময়ে "আমাদের  বড়ো মায়ের " স্মরণ  করা উচিত ।"
পুজোর সাজসজ্জা ,পুজোর থালা সাজানোর সময়ে ,আরতি করার সময়ে ,পুস্প অর্পণ করার সময়ে ,পরিক্রমা করার সময়ে ,পুজোর প্রতিটি বিধি পালন করার সময়ে ,আমাদের মন থেকে "বড় মায়ের" স্মরণ করতে হবে এবং ওনার কাছে থাকতে হবে ।এতই নয়  বাড়ি গিয়ে প্রসাদের সম্বর বানাবার সময়ে ও পরিবারের সঙ্গে বসে সেই প্রসাদ গ্রহণ করার সময়ে ও মনে এই ভাব থাকা উচিত প্রত্যেক মহিলার মনে যে এই প্রসাদ আমাদের "বড় মায়ের" আশীর্বাদ ।ভগবান আমাদের মনের নির্মল  ভাবেই খুশি হন ।


শ্রিমাদপুরুশার্থ গ্রন্থতে ( shrimadpurusharth granth) বাপুজি বলেছেন :-


*-ইশ্বরের  কৃপা পেতে গেলে ,ইশ্বরের ওপরে সম্পূর্ণ বিশ্বাস ,আস্থা ও ভালবাসা থাকতে হবে ।


*-ইশ্বরের মূর্তি পূজা আমাদের ইশ্বরের প্রতি পবিত্র  ভালবাসার প্রকাশ করার সবথেকে সুসংস্কৃত ,সহজ ও প্রাচীন মার্গ ।


*-ইশ্বরের প্রতিমার মনোযোগ সহকারে পুজো করার সময়ে ,ইশ্বরের দর্শন ,পূজন ,চরনস্পর্শ ,ধ্যান ও তাঁর নিকটে থাকা ,তাঁকে মন দিয়ে ডাকা এই পাঁচটি  সাধন নিজেথেকেই হতে থাকে ।


-শ্রিমাদপুরুশার্থ গ্রন্থ :তৃতীয় খণ্ড :আনন্দসাধনা ,পৃষ্ঠ ৬২পূজন (প্রতিকওউপাসনা )

 
নন্দামাতা ওই সব মহিলাদের আগে বলেন ,"প্রপত্তির সাজসজ্জা একটি উপচার ,সেটা বাপুজীর আজ্ঞা অনুসারে হওয়া উচিত ।এই প্রসাধন ,সাজসজ্জা এতই মনোরম ও আকর্ষক হওয়া উচিত যে তা দেখে মনে প্রসন্নতা নির্মাণ হবে ।কিন্তু প্রসাধন প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া উচিত নয় ।তার সঙ্গে আমাদের সকলের মনে এই ভাবনা  এই আর্ততা থাকা আবশ্যক ,যে আজকের এই শুভ দিনে আমাদের "বড় মা "কেবল আমাদের জন্যই আসবেন ,মায়ের হাতের অস্ত্র শুধুমাত্র আমাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য ,এবং উনি আমাকে আমার পরিবারের রক্ষক বানাবেন ।আমদের "বড় মায়ের "সঙ্গে কথা বলা উচিত ।ইশ্বরের প্রতি প্রেম ও আর্ততার সঙ্গে ওনার স্মরণ করা উচিত ।



পুজোর বিধি পালন করার সময়ে যদি অজ্ঞানে  কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে যায় তো ভয় পাবে না ,এই ব্যাপারে বাপুজী শ্রিমাদপুরুশার্থ গ্রন্থতে বলেছেন ,
"পরমেশ্বর সবসময়ে বিস্মৃত না হয়ে প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য সুমিরন ও চিন্তন করেন ।এইজন্য যারা ইশ্বরের চিন্তন ও সুমিরন করেন ইশ্বর তাদেরকে ভালবাসেন ।ইশ্বর তাদের ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা করে দেন ।-শ্রী মাদপুরুশার্থ  গ্রন্থ :প্রথম খণ্ড :পৃষ্ঠ :৬৬


নন্দামাতা আরও বলেছেন ,"প্রত্যেক মহিলা "বীরা "(veera) তার পরিবারের রক্ষক হওয়া উচিত ।আমাদের সবাইকে প্রেমের সঙ্গে "বড় মায়ের "স্মরণে যেতে হবে তাঁর কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্য ।"

..."সংসার ধর্মে ও আধ্যাত্মিকতা এই দুই স্তরেই রামরাজ্য আসা উচিত ।আমাদের সেরা হতে হবে ,সব থেকে সেরা ।"
বাপুজীর রামরাজ্য প্রবচনের এই কথাটি আমার মনে এলো ।ওই প্রবচনে বাপুজী বলেছিলেন যে রামরাজ্য কেবল মনে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকলে  হবে না ,শরীর -মন -প্রাণ এবং বুদ্ধি এই প্রতিটি স্তরেই রামরাজ্য আনতে হবে ।
আর তাই বাপুজীর আগে বলা কথার ওপরে নজর দেওয়া উচিত ও তার গুরুত্ব অনুমান করা আবশ্যক ।উদাহরণস্বরূপ সকালে উঠে জল খাওয়া ,রোজ সাতাক্ষী প্রসাদামের সেবন করা ,কারিপাতা খাওয়া ,রোদ্দুরে হাঁটা ,ফলমূল খাওয়া ............এই সব পালন করলে আমরা বাপুজীর সঙ্গে রামরাজ্যে যেতে পারব ।বাপুজী ইংরাজি ভাষা ,যা বিশ্বের ভাষা ,তা ভালোভাবে সু-ব্যবহৃত করে "অনিরুদ্ধাজ ইনস্টিটিউট অফ লাঙ্গুয়েজ এন্ড লিঙ্গুইসটিক "(Aniruddhas Institute Of Language And Linguistics) স্থাপন করেন ।এই ইনস্টিটিউট র প্রধান সচিব হলেন ডাক্তার সৌ নন্দা  অনিরুদ্ধ জোশী ,উনি" হাপি ইংলিশ স্টোরিজ " নামক ৮ টি বই লিখেছেন ,যা পড়ে স্বাভাবিক মানুষের ইংরাজি আরো কার্যকরী হতে পারে ।
 
এই একই ভাবে বাপুজী আমাদের নিজের নিজের ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ,আর সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য জর্নাল্স তৈরী করেছেন ,এক্সপোনেন্ট গ্রুপ অফ জর্নাল্স (Exponent Group Of Journals)এই প্রজেক্ট আবার শুরু করেছেন আর তার পাবলিশিং ডিসেম্বর ২০১২ থেকে করা হয়েছে ।
(http://www.aanjaneyapublications.com)এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি আমরা অনলাইন জর্নাল কিনতে পারি ।

সামাজিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশি সক্ষম করে তলার জন্য এবং আমাদের টেকনলজি সমর্কে শিক্ষিত করে তলার জন্য ,বাপুজী ১ জানুয়ারী ২০১৪ তে দৈনিক প্রতোক্ষ (dainik pratakshya)তে "সোশাল মিডিয়া -পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক ব্যবহার "এই বিষয়ে লেখেন ।এতে কোনো সন্দেহ নেই যে পাঠকরা এই লেখ পড়ে সামাজিক মিডিয়া সঠিক ভাবে দ্বায়িতের সাথে উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন ।

বাপুজী দৃঢ়তার সঙ্গে এও বলেন যে নানান ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সমর্থতা  সঙ্গে সঙ্গে গ্রামিনবিকাশ হওয়া  প্রয়োজনীয় তা ছাড়া ভারতবর্ষে রামরাজ্য আসা সম্ভব নয় আর তাই বাপুজী "অনিরুদাজ ইনস্টিটিউট অফ গ্রামবিকাশ "নামক সংস্থা স্থাপন করেছেন ।চাষীদের সাবলম্বী করার জন্য বাপুজী অনেক যোজনায় শুরু করেছেন ।

সম্পূর্ণ রামরাজ্য প্রবচনের ব্যাপারে লিখতে গেলে আরো অনেক কিছু লেখা যেতে পারে ।এরজন্য আমাদের কর্তব্য যে আমরা বাপুজীর লেখা রামরাজ্যের বই ভালো করে পড়ে তা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাই ।বাপুজী আর ওনার মা ,বড় মা মহিশাশুর্মর্দিনি আমাদের উপরে ওনাদের কৃপা দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সদাই তত্পর হয়ে থাকেন ।

আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো ১ জানুয়ারী ২০১৪ সালের দৈনিক প্রতক্ষ্য ।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলতে পারা কি প্রগতির পথের একটা বড় বাঁধা বা আপত্তি  নয় ?তাই বাপুজী তাঁর বাচ্ছাদের যাতে এই আপত্তি বা বাঁধার সম্মুখীন না হতে হয় ,টেকনোলজি ও সামাজিক মিডিয়া সংক্রান্ত পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক তথ্য দৈনিক প্রতক্ষ্যতে দিয়েছেন।এই মূল্যবান তথ্য প্রত্যেক শ্রদ্ধাবান নিজের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের উন্নয়ের জন্য কাজে লাগাতে পারে ,যা তাকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
 

 
"হরি ওম "
 
 
"শ্রীরাম "
 
 
"আম্বাদনিয়া "