Monday 13 January 2014

প্র্পত্তি -আপত্তি বা বিপদ প্রতিরোধক শরণাগতি।

গত বছরের মতো এ বছরেও পরম পূজ্য নান্দামাতার তত্ত্বাবধানে শ্রী মঙ্গলচন্দিকা প্র্পত্তির প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ।

কিছু ধর্মপ্রাণ মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা করার সময়ে নন্দামাতা বলেছেন ,
"পরম পূজ্য বাপুজি রামরাজ্য বই তে প্র্পত্তি সম্পর্কে যা ব্যাক্ত করেছেন আমরা সেই পুস্তিকা পড়ে শ্রী মঙ্গলচন্দিকা প্র্পত্তির প্রস্তুতি শুরু করবো ।"

 তাহলে আমরা বুঝতে পারব বাপুজি আমাদের কাছে কি আশা করেন ।প্রতি বছর প্রপত্তির আগে  সকল শ্রদ্ধাবান স্ত্রীদের এই রামরাজ্য পুস্তিকা পড়া উচিত ,এই তথ্য পড়ে ওনারা প্রপত্তি সংক্রান্ত বাপুজীর কি ভূমিকা তা বুঝতে পারবেন ।

.......আর তখনই আমার রামরাজ্য প্রবোচনের কথা মনে এলো ।সেই দিনটা ছিল ,৬মে ২০১০ সাল ।পরম পূজ্য বাপুজি বলেছিলেন "আজ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার শুরু হচ্ছে ,আর সেটা হলো শ্রী চন্দিকা উপাসনা ............রামরাজ্য আনার জন্য মা চন্দিকার  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা আছে ।মা চন্দিকার কৃপাতেই সবকিছু হবে ।মা চন্দিকার উপাসনা ও পুজো করলে তবেই অশুভের দমন হয় ,আর তা ছাড়া অশুভ পরাস্ত হয় এবং জীবনে সাফল্য ও সাহস অর্জন করা যায় ও তা অপরিবর্তিত রাখা যায় ।


তারপর প্রথম বার বাপুজি প্র্পত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও তার ব্যখ্যা দেন ।প্র্পত্তির উপাসনা মানে আপত্তি বা বিপদ প্রতিরোধক শরণাগতি ।
পুরুষদের জন্যে শ্রী রণচন্দিকা প্র্পত্তি আর মহিলাদের জন্য  শ্রী মঙ্গলচন্দিকা  প্র্পত্তি ।পুরুষদের প্র্পত্তি  শ্রাবণ মাসে হয়  এবং মহিলাদের প্র্পত্তি মকর সংক্রান্তির  দিনে হয় ।এইজন্য নন্দামাতা প্রপত্তির প্রস্তুতিতে  ব্যাস্ত আছেন ।

তথ্য পড়ার  পর ,নন্দামাতা বলেন .............
"আমরা যেমন আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সপ্তমাত্রুকা পুজো করি ,সেই রকম  আমরা আমাদের সমস্ত পরিবারের নিরাপত্তার  জন্য প্র্পত্তি করে থাকি ।মহিষাশুরমর্দিনী  চন্দিকা অর্থাত আমাদের বড়ো মা ই আমাদের নিজেদের পরিবারের রক্ষক বানিয়েছেন ।" নন্দামাতা আরো  বলেন ,"বাপুজি যেমন বলে থাকেন যে ,ভিত্থল  (vitthal) ভগবানের দর্শণে যাওয়ার সময়ে মনে খালি ওনার ধ্যান থাকা উচিত ,ঠিক সেই রকমই  প্র্পত্তি করার সময়ে "আমাদের  বড়ো মায়ের " স্মরণ  করা উচিত ।"
পুজোর সাজসজ্জা ,পুজোর থালা সাজানোর সময়ে ,আরতি করার সময়ে ,পুস্প অর্পণ করার সময়ে ,পরিক্রমা করার সময়ে ,পুজোর প্রতিটি বিধি পালন করার সময়ে ,আমাদের মন থেকে "বড় মায়ের" স্মরণ করতে হবে এবং ওনার কাছে থাকতে হবে ।এতই নয়  বাড়ি গিয়ে প্রসাদের সম্বর বানাবার সময়ে ও পরিবারের সঙ্গে বসে সেই প্রসাদ গ্রহণ করার সময়ে ও মনে এই ভাব থাকা উচিত প্রত্যেক মহিলার মনে যে এই প্রসাদ আমাদের "বড় মায়ের" আশীর্বাদ ।ভগবান আমাদের মনের নির্মল  ভাবেই খুশি হন ।


শ্রিমাদপুরুশার্থ গ্রন্থতে ( shrimadpurusharth granth) বাপুজি বলেছেন :-


*-ইশ্বরের  কৃপা পেতে গেলে ,ইশ্বরের ওপরে সম্পূর্ণ বিশ্বাস ,আস্থা ও ভালবাসা থাকতে হবে ।


*-ইশ্বরের মূর্তি পূজা আমাদের ইশ্বরের প্রতি পবিত্র  ভালবাসার প্রকাশ করার সবথেকে সুসংস্কৃত ,সহজ ও প্রাচীন মার্গ ।


*-ইশ্বরের প্রতিমার মনোযোগ সহকারে পুজো করার সময়ে ,ইশ্বরের দর্শন ,পূজন ,চরনস্পর্শ ,ধ্যান ও তাঁর নিকটে থাকা ,তাঁকে মন দিয়ে ডাকা এই পাঁচটি  সাধন নিজেথেকেই হতে থাকে ।


-শ্রিমাদপুরুশার্থ গ্রন্থ :তৃতীয় খণ্ড :আনন্দসাধনা ,পৃষ্ঠ ৬২পূজন (প্রতিকওউপাসনা )

 
নন্দামাতা ওই সব মহিলাদের আগে বলেন ,"প্রপত্তির সাজসজ্জা একটি উপচার ,সেটা বাপুজীর আজ্ঞা অনুসারে হওয়া উচিত ।এই প্রসাধন ,সাজসজ্জা এতই মনোরম ও আকর্ষক হওয়া উচিত যে তা দেখে মনে প্রসন্নতা নির্মাণ হবে ।কিন্তু প্রসাধন প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া উচিত নয় ।তার সঙ্গে আমাদের সকলের মনে এই ভাবনা  এই আর্ততা থাকা আবশ্যক ,যে আজকের এই শুভ দিনে আমাদের "বড় মা "কেবল আমাদের জন্যই আসবেন ,মায়ের হাতের অস্ত্র শুধুমাত্র আমাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য ,এবং উনি আমাকে আমার পরিবারের রক্ষক বানাবেন ।আমদের "বড় মায়ের "সঙ্গে কথা বলা উচিত ।ইশ্বরের প্রতি প্রেম ও আর্ততার সঙ্গে ওনার স্মরণ করা উচিত ।



পুজোর বিধি পালন করার সময়ে যদি অজ্ঞানে  কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে যায় তো ভয় পাবে না ,এই ব্যাপারে বাপুজী শ্রিমাদপুরুশার্থ গ্রন্থতে বলেছেন ,
"পরমেশ্বর সবসময়ে বিস্মৃত না হয়ে প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য সুমিরন ও চিন্তন করেন ।এইজন্য যারা ইশ্বরের চিন্তন ও সুমিরন করেন ইশ্বর তাদেরকে ভালবাসেন ।ইশ্বর তাদের ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা করে দেন ।-শ্রী মাদপুরুশার্থ  গ্রন্থ :প্রথম খণ্ড :পৃষ্ঠ :৬৬


নন্দামাতা আরও বলেছেন ,"প্রত্যেক মহিলা "বীরা "(veera) তার পরিবারের রক্ষক হওয়া উচিত ।আমাদের সবাইকে প্রেমের সঙ্গে "বড় মায়ের "স্মরণে যেতে হবে তাঁর কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্য ।"

..."সংসার ধর্মে ও আধ্যাত্মিকতা এই দুই স্তরেই রামরাজ্য আসা উচিত ।আমাদের সেরা হতে হবে ,সব থেকে সেরা ।"
বাপুজীর রামরাজ্য প্রবচনের এই কথাটি আমার মনে এলো ।ওই প্রবচনে বাপুজী বলেছিলেন যে রামরাজ্য কেবল মনে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকলে  হবে না ,শরীর -মন -প্রাণ এবং বুদ্ধি এই প্রতিটি স্তরেই রামরাজ্য আনতে হবে ।
আর তাই বাপুজীর আগে বলা কথার ওপরে নজর দেওয়া উচিত ও তার গুরুত্ব অনুমান করা আবশ্যক ।উদাহরণস্বরূপ সকালে উঠে জল খাওয়া ,রোজ সাতাক্ষী প্রসাদামের সেবন করা ,কারিপাতা খাওয়া ,রোদ্দুরে হাঁটা ,ফলমূল খাওয়া ............এই সব পালন করলে আমরা বাপুজীর সঙ্গে রামরাজ্যে যেতে পারব ।বাপুজী ইংরাজি ভাষা ,যা বিশ্বের ভাষা ,তা ভালোভাবে সু-ব্যবহৃত করে "অনিরুদ্ধাজ ইনস্টিটিউট অফ লাঙ্গুয়েজ এন্ড লিঙ্গুইসটিক "(Aniruddhas Institute Of Language And Linguistics) স্থাপন করেন ।এই ইনস্টিটিউট র প্রধান সচিব হলেন ডাক্তার সৌ নন্দা  অনিরুদ্ধ জোশী ,উনি" হাপি ইংলিশ স্টোরিজ " নামক ৮ টি বই লিখেছেন ,যা পড়ে স্বাভাবিক মানুষের ইংরাজি আরো কার্যকরী হতে পারে ।
 
এই একই ভাবে বাপুজী আমাদের নিজের নিজের ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ,আর সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য জর্নাল্স তৈরী করেছেন ,এক্সপোনেন্ট গ্রুপ অফ জর্নাল্স (Exponent Group Of Journals)এই প্রজেক্ট আবার শুরু করেছেন আর তার পাবলিশিং ডিসেম্বর ২০১২ থেকে করা হয়েছে ।
(http://www.aanjaneyapublications.com)এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি আমরা অনলাইন জর্নাল কিনতে পারি ।

সামাজিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশি সক্ষম করে তলার জন্য এবং আমাদের টেকনলজি সমর্কে শিক্ষিত করে তলার জন্য ,বাপুজী ১ জানুয়ারী ২০১৪ তে দৈনিক প্রতোক্ষ (dainik pratakshya)তে "সোশাল মিডিয়া -পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক ব্যবহার "এই বিষয়ে লেখেন ।এতে কোনো সন্দেহ নেই যে পাঠকরা এই লেখ পড়ে সামাজিক মিডিয়া সঠিক ভাবে দ্বায়িতের সাথে উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন ।

বাপুজী দৃঢ়তার সঙ্গে এও বলেন যে নানান ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সমর্থতা  সঙ্গে সঙ্গে গ্রামিনবিকাশ হওয়া  প্রয়োজনীয় তা ছাড়া ভারতবর্ষে রামরাজ্য আসা সম্ভব নয় আর তাই বাপুজী "অনিরুদাজ ইনস্টিটিউট অফ গ্রামবিকাশ "নামক সংস্থা স্থাপন করেছেন ।চাষীদের সাবলম্বী করার জন্য বাপুজী অনেক যোজনায় শুরু করেছেন ।

সম্পূর্ণ রামরাজ্য প্রবচনের ব্যাপারে লিখতে গেলে আরো অনেক কিছু লেখা যেতে পারে ।এরজন্য আমাদের কর্তব্য যে আমরা বাপুজীর লেখা রামরাজ্যের বই ভালো করে পড়ে তা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাই ।বাপুজী আর ওনার মা ,বড় মা মহিশাশুর্মর্দিনি আমাদের উপরে ওনাদের কৃপা দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সদাই তত্পর হয়ে থাকেন ।

আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো ১ জানুয়ারী ২০১৪ সালের দৈনিক প্রতক্ষ্য ।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলতে পারা কি প্রগতির পথের একটা বড় বাঁধা বা আপত্তি  নয় ?তাই বাপুজী তাঁর বাচ্ছাদের যাতে এই আপত্তি বা বাঁধার সম্মুখীন না হতে হয় ,টেকনোলজি ও সামাজিক মিডিয়া সংক্রান্ত পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক তথ্য দৈনিক প্রতক্ষ্যতে দিয়েছেন।এই মূল্যবান তথ্য প্রত্যেক শ্রদ্ধাবান নিজের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের উন্নয়ের জন্য কাজে লাগাতে পারে ,যা তাকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
 

 
"হরি ওম "
 
 
"শ্রীরাম "
 
 
"আম্বাদনিয়া "

No comments:

Post a Comment